গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা অভিযানে হাজার হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনির নিহত হয়েছেন। এই বিষয় নিয়ে মার্কিন মুসলিমরা যে খুবই মনোকষ্টে রয়েছেন, তা বোঝেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
এক লিখিত বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, ‘গাজায় চরম মানবিক বিপর্যয় চলছে। প্রতিদিন শত শত বেসামরিক মানুষেল সেখানে নিহত হওয়া এবং সহিংসতার জেরে মার্কিন মুসলিমরা যে নিদারুন মানসিক কষ্টে আছেন তা আমরা বুঝতে পারি। ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও এ ইস্যুতে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত।’
তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, বাইডেন এই বার্তা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলের কাছে বোমা ও যুদ্ধবিমান বিক্রয় সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাইডেন প্রশাসন। যুক্তিতে যত সংখ্যক বোমা ও যুদ্ধবিমানের উল্লেখ রয়েছে, বর্তমান বাজারে সেসবের দাম শত কোটি ডলারের ওপর।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের সবচেয়ে পুরোনো, বিশ্বস্ত ও প্রভাবশালী মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্বের এই একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্রটিকে আর্থিক, সামরিক, রাজনৈতিক ও গোয়েন্দা সহায়তা দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন।
সেই ধারাবাহিকতায় গাজায় হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরায়েলকে সমরাস্ত্র ও রাজনৈতিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি এ পর্যন্ত জাতিসংঘে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত যত প্রস্তাব উঠেছে, সেগুলো মধ্যে সর্বশেষ প্রস্তাবটি ব্যতীত বাকি সবগুলো ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে বাতিল করেছে ওয়াশিংটন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চলায় হামাস যোদ্ধারা। অতর্কিত সেই হামলায় ইসরায়েলে সেদিন নিহত হন ১ হাজার ২০০ মানুষ, সেই সঙ্গে ২৪০ জন মানুষকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা।
অভূতপূর্ব এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সেই দিন থেকেই গাজা উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। গত ছয় মাস ধরে চলমান সেই অভিযানে ইতোমধ্যে উপত্যকায় নিহত হয়েছেন ৩২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৪ হাজার। সেই সঙ্গে বাড়িঘর হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।
Leave a Reply